নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : করোনা আবহের মধ্যেই বাজলো ভোটের দামামা । প্রস্তুতি পর্ব শুরু করলো নির্বাচন কমিশন । এবার ভোট গ্ৰহণ , ভোট গননা , মনোনয়ন পেশ সহ ভোটদান এবং প্রচার পর্ব সবক্ষেত্রেই মানতে হবে স্বাস্থ্য বিধি । তার ই নির্দেশিকা জারি করলো কমিশন । এতদিন অবধি ভোটের দিন ঘোষনার পর থেকেই যেভাবে মিছিল , মিটিং , সভার আয়োজন করতো রাজনৈতিক দলগুলি এবার সেই আয়োজনে অনেকটাই পরিবর্তন ঘটবে । অনলাইনে র উপর ভরসা করতে হবে বেশী প্রার্থী সহ রাজনৈতিক দলগুলিকে । নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে , বাড়ি বাড়ি প্রচারের ক্ষেত্রে ৫ জনের বেশী যেতে পারবেন না একসাথে । শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখা , মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক এছাড়াও গ্লাভস্ হাতে পড়তে হবে । প্রার্থীদের নিয়ে র্যালি বা প্রচার করলেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে করতে হবে । ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ এর ক্ষেত্রে এবার অনলাইন পদ্ধতিকেই বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । এছাড়া প্রশিক্ষণ পর্ব করতে হলে বড় হল ঘর এর ব্যবস্থা করতে হবে । স্যানিটাইজ করার পর ভোটকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং করে তবেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হবে । এক ই পদ্ধতি এবার ভোট কেন্দ্র গুলিতেও । প্রতিটি ভোটগ্ৰহণ কেন্দ্রকে স্যানিটাইজ করা হবে । ইভিএম এ গ্লাভস্ পরে তবেই ভোটাররা বোতাম 'প্রেস' করতে পারবেন । প্রতিটি ভোটারের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে ভোটকক্ষে প্রবেশের আগে । তাপমাত্রা বেশী থাকলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে । ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের লাইনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে । যে সমস্ত কাগজপত্র ভোটকর্মীরা ব্যবহার করবেন তা আগে স্যানিটাইজ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে । তবে যে সব নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে । কতটা পালন করা সম্ভব হবে তাও বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ । বিশেষত ভোটের প্রচার , জনসভা এসবে জমায়েত কিভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে সেটাই প্রশ্ন । আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন । এখন থেকেই নানা ইস্যুতে শাসক বিরোধী সব দল রাজনৈতিক কর্মসূচী করছেন । সবক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য বিধি মানার কোনো বালাই নেই । ভোটের বাজারে তা কতটা সবাই মানবেন সেটাই দেখার । তবে একহাজারের বেশী ভোটার হলেই ভোটকেন্দ্র ভাগ করে দেবার কথা জানিয়েছে কমিশন । ফলে ভোট কর্মীর সংখ্যাও অনেক বেশী প্রয়োজন । রিজার্ভ ভোটকর্মীর সংখ্যাও বাড়াতে হবে । কেউ অসুস্থতা বোধ করলে দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে । ভোটের যাবতীয় উপকরণের সাথে এবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার , মাস্ক , গ্লাভস্ থাকছেই ভোটকর্মীদের জন্য থাকছে ফেস কভার । করোনা আবহকে নিয়েই ভোটগ্ৰহণ পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তৎপর নির্বাচন কমিশন ।